

ডিজিটাল প্রযুক্তির উৎকর্ষে গণমাধ্যমের সহযোগিতার বিকল্প নেই
দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করছে এনিগমা মাল্টিমিডিয়া। নতুন প্রজন্মের উদীয়মান শিল্পীদের নিয়ে ‘আজ গানের দিন’ নামে একটি অনুষ্ঠান প্রচার করেছে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। এ ছাড়া ‘একাত্তরের এই দিনে’, ‘আমাদের বইমেলা’, ‘অগ্নিঝরা মার্চ’। এ ছাড়াও ‘শুভযাত্রা’, ‘বাবা দিবস’, ‘মা দিবস’, ‘শিশু দিবস’, ‘বন্ধু দিবস’সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন ভিত্তিক অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছে এই প্ল্যাটফর্মটি।
সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর গুলশানের পুলিশ প্লাজায় এনিগমা মাল্টিমিডিয়া কার্যালয়ে নিজেদের কাজ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনিগমা মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান শেখ রায়হান আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ জাহিন আহমেদ এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি শেখ রায়হান আহমেদ বলেন, মিডিয়ার অপরিহার্যতা আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে দেশ, দেশের বিশেষ তরুণ প্রজন্মের জন্য কিছু করার। এনিগমা মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড একটি স্বপ্ন। এই স্বপ্নবীজ রোপিত হয়েছিল ২০২২ সালের ২ এপ্রিল। সেই বীজ অঙ্কুরিত হয়ে এখন চারাগাছ। আমি যারপরনাই আনন্দিত ও গর্বিত যে, এনিগমা নামের চারাগাছটি একটি দলগত প্রচেষ্টা ও তাদের যত্ন-পরিচর্যায় ইতোমধ্যে এক বছর সুন্দরভাবে অতিক্রম করেছে। আমরা জানি, বর্তমান বিশ্বে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহযোগিতা ছাড়া উন্নত জীবনযাপন প্রায় অসম্ভব। বিশ্বজুড়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির এই উৎকর্ষের সময়ে এনিগমা মাল্টিমিডিয়া সে ক্ষেত্রেই অবদান রাখা এবং নিজেদের একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার অভিপ্রায় নিয়ে যাত্রা শুরু করে। পাশাপাশি গণমাধ্যমের সহযোগিতারও বিকল্প নেই। একইসঙ্গে এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের পরামর্শ ও সম্পৃক্ততাও একান্ত কাম্য।
শেখ জাহিন আহমেদ বলেন, এক বছরে এনিগমা মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জই ছিল। এর মধ্যে প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল মানবসম্পদ উন্নয়ন। একটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন একটা ভালো কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা এবং ধীরে ধীরে সবাই একসঙ্গে কাজ করা। আমরা শেষ পর্যন্ত একটি কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে পেরেছি। অর্থাৎ চ্যালেঞ্জটা আমরা ওভারকাম করতে পেরেছি। আমরা এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ভবিষ্যতে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য দৃঢ় সংকল্প নিয়ে দৃপ্তপদে এগিয়ে যাব। প্রতিষ্ঠাকালীন অঙ্গীকার বাস্তবায়নে বিদ্যমান সঙ্কটগুলো কাটিয়ে উঠে উত্তরোত্তর নতুন সৃজনশীলতার পথ ধরে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে আমাদের। আমাদের যাত্রায় আপনাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রত্যাশা করছি।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে ফাহমিদুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির এই উৎকর্ষের যুগে আমরা চেষ্টা করছি একটি প্রফেশনাল মাল্টিমিডিয়া কোম্পানি তৈরি করতে; যে মাল্টিমিডিয়া ৩৬০ ডিগ্রি সাপোর্ট দিতে পারে। আমরা আশা করি, আমাদের এই ছোট ছোট সাফল্যগুলোই এক সময় বড় সাফল্য হবে।